Wednesday, December 20, 2017

রাসূলুল্লাহর হাদিসকে অশ্লিল আখ্যা দিলো ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য

ইকবাল আহমেদ শামীমঃ আজকে দৈনিক ভোরের কাগজের ১ম পৃষ্ঠায় অভিজিৎ ভট্টাচার্য নামের এক সাংবাদিক “মাদ্রাসার বইয়ে অশ্লীলতা” নামের একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। এই প্রতিবেদনে মুসলমানদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস শরীফ কে অশ্লীল এবং ব্যাঙ্গাত্মক আখ্যা দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই হিসেবে ছাপা হওয়া মাদ্রাসার দাখিল স্তরের নবম-দশম শ্রেণির আল হাদিস বইয়ের ৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে,
একদা এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেনআমি কি আমার মায়ের কাছে প্রবেশ করতে অনুমতি প্রার্থনা করবতিনি বললেন হ্যাঁ। তখন লোকটি বললআমি তো তার খাদেম। হজরত রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনতুমি তার কাছে অনুমতি চাও। তুমি কি তোমার মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পছন্দ করো?’

এই হাদিস শরীফ কে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির আকায়েদ ওয়াল ফিক্হনবম ও দশম শ্রেণির কুরআন মজিদ ও তাজভিদ এবং আল হাদিস বইয়ের প্রায় ২৩ লাখ কপিকে ফেরৎ আনা হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিতরণকেন্দ্র থেকে। সেইসাথে এই প্রতিবেদনে অভিজিত ভট্টাচার্য নামের ওই প্রতিবেদক মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের বইয়ে -
সর্বময় ক্ষমতা তথা আইনবিধানরাষ্ট্রনীতিঅর্থনীতিশাসন চলবে আল্লাহ তায়ালার নামেঅন্য কারো নয়।
* ‘আল কুরআন মুসলমানদের সংবিধান
এই বিষয়গুলোকে দেশদ্রোহী ও সরকাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আর এই প্রতিবেদকের সাথে একমত হয়েছে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু ইসলাম বিদ্বেষি হিন্দুত্ববাদী ও উগ্র নাস্তিক্যবাদী মহল। (সুত্র - https://goo.gl/QDDxeU)

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ একটা শান্তিপ্রিয় মুসলিম দেশ। তার হাজার হাজার প্রমাণও আছে। প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশের খবরাখবর আমি প্রতিদিনই পেয়ে থাকি আমার অনেক বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে। আফসোস লাগে যে বাংলাদেশে অনেক মুসলিম রাজনৈতিক দল বিদ্যমান হওয়া  সত্বেও এভাবে মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উগ্র হিন্দুরা জাতীয় দৈনিকগুলোতে অবমাননা করে চলেছে অথছ বাংলাদেশেরধর্মীয় দলগুলো হাত গুটিয়ে বসে আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হলো মুসলিমদের বোর্ড। সেই বোর্ডের বইগুলোতে কি থাকবে না থাকবে তা কি উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কি নির্ধারণ করবেআর যদিও এগুলো নিয়ে আপত্তি করে তাহলে তা হবে মুসলিমদের ধর্ম অবমাননা। এমনকিমাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি বইয়ে হাসিনা বেগম লেখা হয়েছে। এটাও নাকি দেশবিরোধী ও শেখ হাসিনা বিরোধী হয়ে গিয়েছে। কি আজব দেশ রে বাবা!

অথচবাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের হিন্দুধর্ম বইগুলোতে এবং কিশোর কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নামের বইয়ে যৌনাঙ্গ সম্পর্কে নিখুত বর্ননা এবং কিভাবে সেক্স করতে হবে সে সম্পর্কেও বর্ননা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোকে অশ্লীল বলা হচ্ছেনা। অথচ মুসলিমদের এই হাদিস শরীফে অশ্লীলতার কোন বিষয়ই নাই। আসলে এগুলো ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে হিন্দু শিক্ষা বোর্ডে পরিণত করার প্ল্যান করা হচ্ছে। দিন দিন সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অসাম্প্রদায়িকতার নামে ইসলামের সব ভাবধারা মুছে ফেলছে। বাংলাদেশের মুসলিমদের সচেতন হওয়ার এখনই সময়।

শেয়ার করুন

0 comments: