সর্বশেষ

Wednesday, December 20, 2017

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় শিবির কর্মী আটক

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় শিবির কর্মী আটক

স্বদেশ বার্তা ডেস্কঃ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় ঝালকাঠিতে মো: মাইনুল ইসলাম (২২) নামে এক  শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকালে আটক করা হলেও সন্ধ্যার পর বিষয়টি জানা যায়। সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের মধ্যো গুয়াটন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মাইনুল ইসলাম ঢাকা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি গুয়াটন এলাকায়। মাইনুল ঢাকা কলেজের সক্রিয় শিবির কর্মী বলে জানা গেছে।

তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা নিতে পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি প্রয়োজন বিধায় তাকে ৫৪ ধারার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের অনুমতি চেয়ে সদর সফতরে আবেদন করা হয়েছে। গ্রেফতার মাইনুল আদালতে বসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি শিবির কর্মী বলে স্বীকার করেছেন।

ঝালকাঠি সদর থানার এসআই ফারুক হোসেন জানান, মাইনুল তার ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করার বিষয়টি স্বীকার  করেছে। অভিযোগের বিষেয়ে স্কিনশট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মাইনুলকে আটক করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের আনুমতি চাওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি পেলে ৫৭ ধারায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী ও হেফাজতে ইসলামের আমিরকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার ১

প্রধানমন্ত্রী ও হেফাজতে ইসলামের আমিরকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার ১

স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীকে কটূক্তির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সরাইল উপজেলার বাড্ডাপাড়া থেকে আবু সালেককে গ্রেফতার করা হয়।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন জানান, আবু সালেক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন অন্যের ফেসবুক থেকে ছবিগুলো সংগ্রহ করে নিজ আইডিতে পোস্ট দিয়েছেন।

ওসি সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সরাইলের চুন্টা এলাকার মাওলানা আতিক উল্লাহ্ বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তবে বিষয়টি তথ্য প্রযুক্তি আইনে অপরাধ হওয়ায় মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদর দফতরের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করা হয়েছে। তাই তাকে আপাতত দণ্ডবিধির ৫৪ ধারা দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কটূক্তির ঘটনায় পুরো সরাইলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় সরাইল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম সরাইল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান, সরাইল চুন্টা এলাকার মুরগি বিক্রেতা আবু সালেক গত এপ্রিল মাস থেকে হেফাজতের আমির আহমদ শফী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে আসছিল। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জেলা ছাত্র খেলাফত আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তৌহিদী জনতা সরাইল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে কোনও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা

শাহজালাল বিমানবন্দরে শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা


স্বদেশ বার্তা ডেস্কঃ গত দুদিনে ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।  দীর্ঘসময় ফ্লাইট না ছাড়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। একের পর এক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে না যাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা। এদিকে  আরও দুদিন ঘন কুয়াশার প্রকোপ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে  আগামী দুদিনের আগে  কাটছে না এ সংকট। বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে বায়ুর ঘূর্ণন বিরাজ করছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছেমৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান  করছে। আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ‘পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার  সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে যানবাহন, নৌযান, উড়োজাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।

বিমানব্ন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার  রাত থেকে প্রায় দশ ঘণ্টা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ছিল। কোনও কোনও ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে নামতে হয়েছে কলাকাতায়।

সিভিল এভিয়েশন অথরিটির  জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম জানান, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কুয়াশার কারণে ভিজিবিলিটি কমে যাওয়ায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বিঘ্নিত হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটের পর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ এবং  সকাল ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।

বিমানবন্দরে একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে থাই এয়ারের একটি ফ্লাইট শাহজালালে অবতরণ করতে না পেরে ব্যাংককে ফিরে যায়। সৌদিয়ার একটি ফ্লাইট রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে  কলকাতায় অবতরণ করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চীনের একটি কার্গো বিমান ঢাকায় নামতে না পেরে চলে যায় মান্দালয়। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানের রিয়াদগামী ফ্লাইট কুয়াশায় বিলম্বিত হয়ে সকালে ১১টা৩০ মিনিটের দিকে ছেড়ে যায়। ভোর ৪টায় দিকে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে চলে যায় কলকাতায়।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘন কুয়াশায় নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বোডিং কার্ড ইস্যুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।  দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরও কোনও কোনও এয়ারলাইন্স যাত্রীদের খাবার ও পানি সরবরাহ না করায় উত্তেজনা দেখা দেয় তাদের মধ্যে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশকেও বেগ পেতে হয়।

এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়েনের  (এএপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার তারিক আহমেদ উস সাদিক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে  বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বিঘ্নিত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক সমস্যায় আমাদের কিছু করার থাকে না।  যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্যই ঘন কুয়াশার সময় ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়।তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ট্রানজিট যাত্রী থাকেন, তাদের আরেকটি ফ্লাইটে উঠতে হবেফ্লাইট বিলম্বিত হলে তাদের সমস্যা বেশি হয়। তবে, আমরা যাত্রীদের যথাসম্ভব পরিস্থিতি বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। এছাড়া, তাদের খাবার ও পানি যেন এয়ারলাইন্সগুলো সরবরাহ  করা হয়, সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
রংপুরে ভোট শুরু

রংপুরে ভোট শুরু


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ১১২২টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন। এটি এই সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন।

ভোটারদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ জন এবং নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা গত ৫ নভেম্বর এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে গত ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। কাউন্সিলর পদে ২১১ জন, সংরক্ষিত আসনে ৬৫ জন এবং মেয়র পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে প্রধান তিন দলের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সরফ উদ্দিন আহাম্মেদ ঝন্টু (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার (লাঙল) মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে  ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পক্ষে নিজ নিজ দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও রংপুরে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আইনশঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনও ধরনের আশঙ্কা নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নগরীতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতদের নগরী ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আধা সরকারি সংস্থা, সব অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পেঁয়াজের কেজি সাড়ে ১১ টাকা

পেঁয়াজের কেজি সাড়ে ১১ টাকা


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশকিছু দেশে পেঁয়াজের বাজার যখন অস্থির, তখন ভারতের নাসিকে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৯ রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১.৬৪ টাকা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এশিয়ান এজের খবরে বলা হয়েছে, সেখানকার এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেটিং কমিটি (এপিএমসি) বাজারে এই দর হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে কিছুদিন আগে এই দর ছিল ১৫ রুপি। এই বাজারে গেলো তিন মাস পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এক পর্যায়ে তা ৪০ রুপিতে পৌঁছায়। এপিএমসি বাজার হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে ভারতের রাজ্য ও বাজারগুলোকে ভৌগোলিকভাবে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়, যা মণ্ডি হিসেবে পরিচিত। একটি রাজ্যের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মণ্ডি বসানো হয়। কৃষকদের তাদের উৎপাদিত পণ্য এসব মণ্ডিতেই নিলামে বিক্রি করতে হয়।

যেকোনো মণ্ডিতে কেবল লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরাই কার্যক্রম চালাতে পারেন। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলো কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কিনতে পারে না। এই বাজারের ব্যবসায়ী নেতা রমেশ দেওরি জানান, কিছুদিন আগে চাহিদা বেশি ছিল। আর এখন যোগান বেশি। এটা বাজারের সাধারণ নীতি। যোগান অনুযায়ী রপ্তানিও হচ্ছে না।

রাসূলুল্লাহর হাদিসকে অশ্লিল আখ্যা দিলো ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য

রাসূলুল্লাহর হাদিসকে অশ্লিল আখ্যা দিলো ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য

ইকবাল আহমেদ শামীমঃ আজকে দৈনিক ভোরের কাগজের ১ম পৃষ্ঠায় অভিজিৎ ভট্টাচার্য নামের এক সাংবাদিক “মাদ্রাসার বইয়ে অশ্লীলতা” নামের একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। এই প্রতিবেদনে মুসলমানদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস শরীফ কে অশ্লীল এবং ব্যাঙ্গাত্মক আখ্যা দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই হিসেবে ছাপা হওয়া মাদ্রাসার দাখিল স্তরের নবম-দশম শ্রেণির আল হাদিস বইয়ের ৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে,
একদা এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেনআমি কি আমার মায়ের কাছে প্রবেশ করতে অনুমতি প্রার্থনা করবতিনি বললেন হ্যাঁ। তখন লোকটি বললআমি তো তার খাদেম। হজরত রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনতুমি তার কাছে অনুমতি চাও। তুমি কি তোমার মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পছন্দ করো?’

এই হাদিস শরীফ কে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির আকায়েদ ওয়াল ফিক্হনবম ও দশম শ্রেণির কুরআন মজিদ ও তাজভিদ এবং আল হাদিস বইয়ের প্রায় ২৩ লাখ কপিকে ফেরৎ আনা হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিতরণকেন্দ্র থেকে। সেইসাথে এই প্রতিবেদনে অভিজিত ভট্টাচার্য নামের ওই প্রতিবেদক মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের বইয়ে -
সর্বময় ক্ষমতা তথা আইনবিধানরাষ্ট্রনীতিঅর্থনীতিশাসন চলবে আল্লাহ তায়ালার নামেঅন্য কারো নয়।
* ‘আল কুরআন মুসলমানদের সংবিধান
এই বিষয়গুলোকে দেশদ্রোহী ও সরকাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আর এই প্রতিবেদকের সাথে একমত হয়েছে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু ইসলাম বিদ্বেষি হিন্দুত্ববাদী ও উগ্র নাস্তিক্যবাদী মহল। (সুত্র - https://goo.gl/QDDxeU)

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ একটা শান্তিপ্রিয় মুসলিম দেশ। তার হাজার হাজার প্রমাণও আছে। প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশের খবরাখবর আমি প্রতিদিনই পেয়ে থাকি আমার অনেক বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে। আফসোস লাগে যে বাংলাদেশে অনেক মুসলিম রাজনৈতিক দল বিদ্যমান হওয়া  সত্বেও এভাবে মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উগ্র হিন্দুরা জাতীয় দৈনিকগুলোতে অবমাননা করে চলেছে অথছ বাংলাদেশেরধর্মীয় দলগুলো হাত গুটিয়ে বসে আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হলো মুসলিমদের বোর্ড। সেই বোর্ডের বইগুলোতে কি থাকবে না থাকবে তা কি উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কি নির্ধারণ করবেআর যদিও এগুলো নিয়ে আপত্তি করে তাহলে তা হবে মুসলিমদের ধর্ম অবমাননা। এমনকিমাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি বইয়ে হাসিনা বেগম লেখা হয়েছে। এটাও নাকি দেশবিরোধী ও শেখ হাসিনা বিরোধী হয়ে গিয়েছে। কি আজব দেশ রে বাবা!

অথচবাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের হিন্দুধর্ম বইগুলোতে এবং কিশোর কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নামের বইয়ে যৌনাঙ্গ সম্পর্কে নিখুত বর্ননা এবং কিভাবে সেক্স করতে হবে সে সম্পর্কেও বর্ননা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোকে অশ্লীল বলা হচ্ছেনা। অথচ মুসলিমদের এই হাদিস শরীফে অশ্লীলতার কোন বিষয়ই নাই। আসলে এগুলো ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে হিন্দু শিক্ষা বোর্ডে পরিণত করার প্ল্যান করা হচ্ছে। দিন দিন সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অসাম্প্রদায়িকতার নামে ইসলামের সব ভাবধারা মুছে ফেলছে। বাংলাদেশের মুসলিমদের সচেতন হওয়ার এখনই সময়।
কাল রংপুর সিটিতে আসছে চমক

কাল রংপুর সিটিতে আসছে চমক


স্বদেশ বার্তা ডেস্কঃ সারা দেশের চোখ এখন রংপুর সিটিতে। আগামীকাল কার ভাগ্যে জুটবে মেয়রের পদ এ আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। একদিকে এরশাদের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত রংপুরে আলোচনার শীর্ষে জাতীয় পার্টি, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা বর্তমান মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। থেমে নেই বিএনপিও। দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন রংপুরে। ভোটাররাও মুখ খুলছেন না। চলছে শেষ মুহূর্তের ভোটের হিসাব-নিকাশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চমক আসতে পারে আগামীকালের ফলাফলে। এখন শুধুই অপেক্ষা। এদিকে ভোটযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত প্রার্থীরা। বছরের শেষ ভোট সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও সর্বত্র নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা-বলয়। আজ রাত পোহালে কাল ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা এ ভোট গ্রহণ চলবে। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রংপুরে। বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় আজ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রংপুর জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় উত্তাল ছিল এই উত্তরের জনপদ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়েছেন তিন হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও বিএনপির কাওসার জামান বাবলা। এরই মধ্যে সোমবার মধ্যরাত থেকে বহিরাগতরা রংপুর ছেড়েছেন। গতকাল মধ্যরাত থেকে সব ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে আগামীকাল মধ্যরাত পর্যন্ত স্থলযান, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, ইজিবাইকসহ সব ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সোমবার থেকেই মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে নির্বাচনে প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকসহ নির্বাচনী এজেন্টদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। একইভাবে জাতীয় মহাসড়কেও এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। মহিলা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভোটারদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তিন দিনব্যাপী ওই কেন্দ্রের ভোটারদের অবহিত করতে ইভিএম পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি এবার নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরাও। ইতিমধ্যে ওই কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটার তিন লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ ও নারী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯৩টি। ভোটকক্ষ এক হাজার ১৭৮টি। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা তিন হাজার ৫৫৯ জন। আগামীকালের ভোট নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুর রউফ সরকার বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের পাশাপাশি উদ্বেগও বিরাজ করছে। তবে এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সবাই সবাইকে চেনেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা চাই রংপুর সিটি করপোরেশনে একজন ভালো মানুষ মেয়র নির্বাচিত হোক। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রংপুরে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। তবে সামনে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

শেষ মুহূর্তের প্রচারণা : আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু গতকাল সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে জাহাজ কোম্পানির মোড় এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে স্টেশন রোড, শাপলা চত্বরচব্বিশ হাজারীসহ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা গতকাল সকালে বেরিয়ে পড়েন ভোট চাইতে। নগরের কাচারীবাজার, গোমস্তাপাড়া, মুন্সিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা মাহীগঞ্জ, সাতমাথা, তাজহাট, রঘুবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। অন্যদিকে বাসদের মেয়র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার এবং একমাত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এদিকে মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩৩টি ওয়ার্ডে পুরুষ ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও শেষবারের মতো গণসংযোগ করেছেন।

থকেছে বিশেষ নিরাপত্তা, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশ-সংক্রান্ত কমিটির সদস্য পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি গতকাল সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজার ৫০০ সদস্য। এর মধ্যে বিজিবির ২১ প্লাটুন (৬৩০ জন), র‌্যাবের ৩৩টি টিম (৪০০ জন) এবং পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন চার হাজার ৪৭০ জন। এ ছাড়া একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল থেকে নগরীতে বিজিবির সদস্যরা টহল শুরু করেছেন। মাঠে আছে ৩৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। এদিকে নির্বাচনী মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশনের ১১টি নীরব পর্যবেক্ষকদল। ইসির নিজস্ব এসব কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুরের প্রবেশদ্বার, রংপুর শহর, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক চৌকি। পাড়া-মহল্লায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।

১৯৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টিই ঝুঁকিপূর্ণ : রংপুর সিটি নির্বাচনে ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হবে।

এক কেন্দ্রে ইভিএম : ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটিতে ইভিএম ব্যবহারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এটি হলো নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর কেন্দ্র সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ। এ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন দুই হাজার ৫৯ জন ভোটার। গতকাল পর্যন্ত ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তিন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা : ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো হলো ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্র।

নির্বাচনসামগ্রী কেন্দ্রে যাবে আজ : রিটার্নিং ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনসামগ্রী পাঠানো হবে।

সুজনের মানববন্ধন : অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে গতকাল সকালে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ সময় বক্তৃতা করেন জেলা সুজনের সভাপতি আকবর হোসেন ও মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু।